অতি প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ অমরত্ব লাভের জন্য বহু চেষ্টা করেছেG। কিন্তু সে চেষ্টা যে কেউই সফল হতে পারেনি। তা সবারই জানা সম্প্রতি পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস, এমন এক প্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন যাদের কাজ হলো মানুষের বয়স কে থামিয়ে দেয়া, এই কোম্পানির নাম alto's lab.
মানুষের যৌবনকে চিরস্থায়ী করার এই গবেষণায় যুক্ত করা হয়েছে।
পৃথিবীর শীর্ষ বিজ্ঞানীদের যাদের মধ্যে রয়েছেন 4 জন নোবেল পদকজয়ী গবেষক। Altos Lab ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়। তারা মানব কোষের সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং পুনর্যৌবন লাভ এর চেষ্টা করছে।
তাদের উদ্দেশ্য মানবদেহের রোগ তৈরি হবার আগেই তা প্রতিহত করা। এবং ঔষধের ব্যবহার কে বদলে ফেলা। সময়ের সাথে সাথে মানুষের দেহের কোষ তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এই গবেষণার মাধ্যমে কোষকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হবে।
এই প্রক্রিয়ায় সময়ের বিচারে মানুষের বয়স কমানোর না গেলেও মানবদেহের জৈবিক বয়স কমানো যাবে। তার মানে একজন বৃদ্ধ মানুষের দেহ তরুণের মত কাজ করবে। যার সাহায্যে মানুষের রোগ বালাই কে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হবে।
ইতোমধ্যে কিছু ইঁদুরের উপর বয়স কমানোর গবেষণা চালানো হয়েছে
এসব ইঁদুর সাধারণের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছে। এবং ইঁদুরগুলো 40 শতাংশ বেশি আয়ু লাভ করেছে।
Altos Lab দাবি করছে তারা চিরযৌবন ধরে রাখা বা দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করার কোম্পানি নয়। কিন্তু এই কোম্পানিতে এমনসব গবেষক ও বিজ্ঞানীদেরকে কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন যাবৎ গবেষণা করছেন কিভাবে মানুষের বয়স কে থামিয়ে দেওয়া যায়। এবং তাদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘায়ু লাভের পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেছেন। বিশ্বের শীর্ষ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি Glaxosmithkline প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হালদার উনকে Altos Labs এর সিইও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের গবেষকদের মধ্যে সিনিয়র সাইন্টিফিক অ্যাডভাইজার হিসেবে আছেন shinya yamanaka।
তিনি স্টেম সেল নিয়ে গবেষণার জন্য 2012 সালের চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
এছাড়া আরও রয়েছেন 2020 সালের রসায়নে নোবেল জয়ী jennifer Dowdna
তিনি জিনোম ডেভলপিং টুলস নির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য পুরস্কৃত হন।
শীর্ষ গবেষক ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে করা এই বিশাল প্রজেক্ট এর শুরুতেই প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের ফান্ড তৈরি করা হয়েছে বলে জেফ বেজোস জানিয়েছেন। বয়সন্ধি প্রযুক্তির পেছনে বিনিয়োগকারী বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে একাই নন, রাসিয়ান বিলিয়নিয়ার , ইউরি মিলনার ও Altos Lab এ অর্থলগ্নি করেছেন। এখন শুধু সময়ই বলে দিবে শীর্ষ ধনকুবের আর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের এই প্রযুক্তি চিরযৌবন ধরে রাখতে পারবে কিনা।
Post a Comment
0Comments