হিউম্যান রিপ্রডাকটিভ সিস্টেম। সৃষ্টি জগতের সবথেকে রহস্যজনক বিজ্ঞান।
মানবপ্রজনন হয় সাধারণত মিলনের মাধ্যেমে শুরু হয়। যার ফলে নয় মাস গর্ভধারনের পর প্রসবের মাধ্যেমে নবজাতক শিশুর জন্ম হয়, এটাকে সাধারনত হিউম্যান রিপ্রডাকটিভ সিস্টেম বলা হয়।
তবে চাইলেই কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় স্পার্ম প্রদানের মাধ্যেমেও গর্ভধারন করা যায়। যা সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বে ঘটে থাকে। যদিও এসব প্রথা এশিয়া, আফ্রিকা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যে অত্যন্ত ঘৃনার চোখে দেখা হয়। আবার অনেক দেশেই এটা জঘন্যতম অপরাধ।
Human reproductive system এর বিজ্ঞান ভিত্তিক রহস্য অনেকেই জানে না।
হিউম্যান রিপ্রডাকটিভ সিস্টেমের খুটিনাটি বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
মিলন
প্রজনন এর প্রথম ও প্রধান ধাপ হলো মিলন। এটা সাধারনত প্রজননের মাধ্যেমে আন্তঃনিষেক প্রক্রিয়ায় মানব প্রজনন সংঘটিত হয়। এই প্রক্রিয়াকে সহবাস বলা হয়ে থাকে।
মিলনের ফলে পুরুষ দেহের শুক্রানু, নারী দেহের ডিম্বাণু একত্রে মিলিত হয়। শুক্রানু ও ডিম্বাণু গ্যামেট নামে ও পরিচিত। যার প্রতিটিতে মাতা পিতার অধ্যেক জেনেটিক তথ্য থাকে। এবং এই কোষগুলো মিয়োসিস প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়।
মিলনের ফলে পুরুষ দেহের প্রায় ৪০ কোটি শুক্রানু বের হয়। যার মধ্য হতে মাত্র একটি শুক্রানু ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়। শুক্রানুটি যৌনি পথে পরিভ্রমন করে ফেলোপিয়ান নালী বা জরায়ুতে পৌছে ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে। একটি জাইগোট গঠন করে।
নিষিক্ত গর্ভে ডিম্বানু স্হাপনের পর নারীর গর্ভে ফেটাস এর বৃদ্ধি প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
গর্ভধারন
প্রজননের দ্বিতীয় ধাপ হলো গর্ভধারন। গর্ভধারন হলো সেই সময়ের পরিক্রমা। যে সময় ব্যাপি নারীদেহে ফেটাস বা ভ্রুন মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজনের মাধ্যেমে বেড়ে ওঠে। এই ডময় ফেটাস তার সকল পুষ্টি এবং অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত তার মায়ের কাছ থেকে অমরার মাধ্যেমে পায়। যা একটি নারীর মাধ্যেমে ফেটাসের পেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। পুষ্টি উপাদানের এই আন্তপরিবহন নারীর জন্য কিছুটা কষ্টকর। এবং স্বাভাবিক এর চেয়ে অধিক খাবার গ্রহন করতে হয়। পাশাপাশি কিছু নিদিষ্ট ভিটামিন, অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ও স্বাভাবিক এর অধিক তুলনায় দরকার হয়। যা প্রায়শই অস্বাভাবিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলে।
মানবজাতিতে গর্ভধারন পর্যায় আনুমানিক ২৬৬ দিন। জরায়ুতে একটি শিশু প্রথমে সংখিপ্ত জাইগোট দসায় থাকে এরপর থাকে ভ্রুনীয় দসায় যাতে শিশু দেহের প্রধান অঙ্গ পতঙ্গ সমুহ তৈরি হয়। এবং তা আট সপ্তাহ পজন্ত সময় নেয়।
এরপর আসি জরায়ুজ দশা যাতে হাড়ের কোষ গুলো তৈরি হয় এবং ফেটাস আকারে আরো বড় হয়।
ধীরে ধীরে ভ্রুনটি বড় হতে থাকে এবং পূনাঙ্গ শিশুতে পরিনত হয়।
প্রসব
ফেটাস যথেষ্ট পরিমান বেড়ে ওঠার পর রাসায়নিক সংকেত বিনিময়ের মাধ্যেমে জন্মের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়ায় ফেটাস প্রসব নালিকা দিয়ে বাইরে বের হয়।
নবজাতক যা মানবজাতিকে মানবশিশু নামে আখ্যায়িত। তাকে জন্মের পরেই শ্বাসপ্রশ্বাস শুরু করতে হয়। অনতিবিলম্বে অমরা তার অবস্থান থেকে আপনাআপনি খসে পড়ে। জিনি প্রসব করান তিনি নিজেও চাইলে অমরার নাড়িটি কেটে ফেলে দিতে পারেন।
সন্তান পালন
মানবশিশু প্রায় অসহায় এবং বারন্ত শিশুর জন্য বহু বছর ধরে পিতামাতার সাহায্যে সহযোগিতার দরকার হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা টি হলো মাতৃদুগ্ধ প্রদান।
অথাৎ, মায়ের স্তনের দুদ্ধগ্রন্থি হতে উৎপন্ন দুধ শিশুকে খাওয়ানো। আর এভাবেই শিশুটি বড় হতে থাকে। এভাবেই মানব সৃষ্টির সাইকেল চলতেই থাকে। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করুন, সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন।
Post a Comment
0Comments