খুব সকের বসে একটা হীরার নাক ফুল কিনবেন। কিন্তু কিনার আগে স্বাভাবিক ভাবে সবার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, দোকানে যেয়ে কীভাবে বুঝবেন সেটা আসল হীরা না নকল।
তাই এই বিষয়ে ভারতের জনপ্রিয় অনলাইন গয়না শপিংয়ের বিশেষজ্ঞ শোলপ আগার ওয়াল জানিয়েছেন কিছু সাধারন টিপস এর মাধ্যমে খুব সহজেই আসল হীরা চেনা যায় তার উপায়।
হীরার অলংকার তো আর সবসময় পরিচিত বা ব্রান্ডের দোকান থেকে কেনা হয় না। অনেক সময় বিদেশ থেকে কিংবা কারো দিয়ে আনিয়ে নেওয়া হয়।
তখন আসল হীরা চেনার উপায় জানা না থাকলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
অন্তত আসল হীরা যদি চিনতে পারেন তবে এত টাকা আর জ্বলে যাবে না।
আসল হিরা চেনার উপায়।
আলোর প্রতিফলন দেখিয়ে।
- আসল হিরা যেভাবে আলোর প্রতিফলন ঘটায়, তা সত্যিই দারুন।
হীরাতে আলো ফেলে এর ভিতরে ধূসর ও ছাই রঙ্গের আলো গচ্ছিত দেখা যাবে। যাকে বলা হয় ব্রিলিয়ান্স।
আর বাইরের দিকে প্রতিফলিত হবে রংধনু রং। যাকে বলা হয় ফায়ার। - কিন্তু নকল হীরার ভেতরে রংধনু রং দেখতে পাওয়া যাবে। মানুষের একটি ভুল ধারনা রয়েছে যে রংধনু রং প্রতিফলিত করে।
- কিন্তু আসল হীরা তে রং প্রতিফলনে বেশিরভাগ ধূসর ভাব থাকে।
- তবে আমরা অনেকে জানিনা হীরার রঙ্গের একটি তারতম্য আছে, এই বিষয়ে সুলভ বলেন কিছু হীরা আছে যার বর্ন হলুদ রং এর হয়ে থাকে। যাকে ক্যানয়ি হীরাও বলা হয়ে থাকে।
তবে হীরার রঙ্গ গোলাপি, নীল, কাল, হলুদ এমনকি বহু ব্যবহিত বর্নহীন হয়ে থাকে।
- তবে পুরো বর্নহীন হওয়াকে গ্রেডিং D, E ও F ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
- এমনকি প্রায় বর্নহীন কিছুটা রঙ্গের ছটা থাকতে পারে G,S ও i ক্যাটাগরিতে।
- একটা হীরার প্রাকৃতিক প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে তার আকার আকৃতির উপর।
- সুলভ বলেন একটি হীরার মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে কী পরিমান খুত আছে তা নির্নয় করে আকার আকৃতির উপর ১০ পাওয়ারের অনুবিক্ষন যন্ত্রের সাহায্যে নির্নয় করা হয়।
হীরা ক্যারোট।
- এক ক্যারোট হীরা সমান ০.২ গ্রাম। এই হিসাব মাথাই রেখেই হীরার ক্যারোট বিবেচনা করা হয়।
এবং এক ক্যারোট হীরাকে সেন্ট আকারে বিক্রি করা হয়। - ক্যারোট ভেদে হীরার দামের তারতম্য হয়ে থাকে। যেমন ধরা যায় দুই ক্যারোট হীরার দাম, দুইটা হীরার থেকে বেশি হতে পারে। তাই ক্যারোট ভেদে হীরার দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে।
তবে অনেকে হীরার মতোই পাথরকে হীরা ভেবে ভুল করেন তাই হীরা কেনার সময় কোন বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিলে ভাল হয়।
Post a Comment
0Comments